Independent VR

নারী অ্যাথলিট ও আমাদের পিরিয়ড ফেইজ

Share With:

নারী অ্যাথলিট ও আমাদের পিরিয়ড ফেইজ
** লং পোস্ট অ্যালার্ট **
কমিউনিটিতে আমার আসা একেবারে নতুন। এখানের অনেক জ্ঞানী, পরিশ্রমী আর সফল মানুষের ভীড়ে কোন টিপস শেয়ার করা বা কোন সমস্যা নিয়ে ওপেনলি কথা বলার প্রচেষ্টা এবারই প্রথম। আমার পোস্ট আপনাদের কাজে লাগলে কিছুটা নিয়মিত হবার চেষ্টা করবো।
আমি বায়োকেমিস্ট, প্রফেশনালি হেলথ কনসাল্ট্যান্সি ফার্ম ডিয়ার ডায়েটের সাথে আছি। কম্পিটিটিভ স্পোর্টসে সরাসরি যুক্ত হওয়া রিসেন্ট হলেও সাইক্লিং করছি কয়েক বছর হবে। মেয়েদের স্বাস্থ্য আর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ট্যাবু নিয়ে আমি এজুকেইশনাল সেশান নিই ফেইসবুকের একটা ফিমেইল গ্রুপে।
প্রথমবার মেন্সট্রুয়েটিং এর সময়ে লং রাইডে যাওয়া নিয়ে সমস্যা ফেইস করলাম। আমার মতো সব অ্যাক্টিভ মেয়েরাই করেন। একটা ছেলের জন্য অ্যাক্টিভ থাকা, জব করা যতোখানি চ্যালেঞ্জিং, মেয়েদের বায়োলজিক্যাল পরিবর্তন এবং চাহিদায় সেটা আরো অনেকখানি কঠিন। পড়তে অস্বস্তিকর লাগতে পারে, তবুও কমন প্ল্যাটফর্মে কথাগুলো শেয়ার করতে চাচ্ছি।
একজন মেয়ে যখন তার পিরিয়ড সাইকেলে ট্রেইনিং করেন, ৯-৫টা কাজ করেন, তলপেট ব্যথা, এন্ডোমেট্রিওসিস, কোমর ব্যথা, ব্যাকপেইন, সাইকোলজিক্যাল ইন্সট্যাবিলিটি ইত্যাদির বাইরে যে কষ্টটা পান সেটায় ফোকাস করছি।
আমাদের বাচ্চাদের আমরা যখন সারাদিন ডায়াপার পরিয়ে রাখি, কিংবা, আমাদের প্যারালাইসিসে বা অন্যান্য রোগে আক্রান্ত বয়স্ক ব্যক্তিটিকে অ্যাডাল্ট ডায়াপারে রাখি, তখন পিউবিক এরিয়ার সমস্ত আদ্রর্তা শুষে নিয়ে স্কিন ড্রাইনেস, ইচিং, র‍্যাশ এগুলো খুব কমনলি হয়। সেটা কমবেশি আমরা জানি। এবার চিন্তা করেন, যে মেয়েটা প্রতি মাসে অন্তত ৫-৭ দিন প্যাড পরে কাজ করেন, ট্রেইনিং করেন, ইভেন্টে যান, সুইমিং, রানিং, ম্যারাথন, সাইক্লিং করেন, অ্যাক্টিভ ফ্রিকশানে তাদের অবস্থা কী হয়।
আমরা অনেকেই আমাদের কোচকে মন খুলে বলতেও পারি না, ‘ভাইয়া, আমার এই সমস্যা হচ্ছে।’ একজন অ্যাক্টিভ কিংবা ওয়ার্কিং উইমেনকে পার্টনার হিসেবে পেলে হয়তো ছেলেরাও তাদের অসুবিধার ব্যাপারটা কিছুটা বুঝতে পারবে। অথবা, না বুঝলেও এই পোস্ট পড়লে কিছুটা আঁচ করতে পারবে।
প্যাড এবং ট্যাম্পনের ব্যবহার শুধু ফিজিক্যাল সমস্যা তৈরি করে এমনও না, বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ যেগুলো আছে, সেগুলো নিয়ে কথা বললে অনেক বিষয়ে বলা যাবে। আমি পার্ট বাই পার্ট পোস্ট দিবো যদি কারো কাজে লাগে।
আমরা মেয়েরা কাউকে বলতে না পেরে এই সময়ে যেমন অনেক সমস্যা সহ্য করি, ঠিক তেমনি আমাদের হাতে কোন অলটারনেটিভ নেই বলেও মানিয়ে নেই। আমি বর্তমানে এই অলটারনেটিভ হাইজিন প্রোডাক্ট মেন্সট্রুয়াল কাপ নিয়েও কাজ করছি। FDA ক্লিয়ার্ড এবং রেজিস্টার্ড মেলুনার কান্ট্রি অ্যাম্বাসেডর হিসেবে।
যেহেতু আমি একজন বায়োকেমিস্ট, এর আগে কাজ করেছি ICDDR,B, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবে, অ্যারিস্টোফার্মাতে, সেই জ্ঞান আর অভিজ্ঞতা থেকে নিরাপদ হাইজিন প্রোডাক্ট কতোখানি নিরাপদ, কিউসি চেক হয়েছে কিনা, FDA থেকে আসলে ছাড়পত্র পেয়েছে কিনা এসব আমার কাছে ম্যাটার করে। সেজন্য FDA অ্যাপ্রুভড দাবী করা যেকোন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজের অফার এলেও কাজ করি নি। একটু ঘাঁটাঘাঁটির বদভ্যাস আছে আরকি।
যাই হোক, কাপ নিয়ে আমাদের সাধারণ ভয়, মিথ, ভুল ধারণা এসব নিয়ে কাজ করছি। অ্যানাটমিকাল ও বায়োলজিক্যাল দিকগুলো নিয়ে আরো বিস্তারিত লিখবো আশা করি। মেন্সট্রুয়াল হেলথ ও হাইজিন নিয়ে যেকোন সেমিনার বা ওয়ার্কশপে ওপেন ডিসকাশানেও স্বাগতম। 🙏🏽
সবার ট্রেইনিং আর অ্যাক্টিভ ফেইজ সমস্যামুক্ত কাটুক।
আমাদের পথচলা সহজ হোক।
কারো কোন প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় জানাবেন
Kaniz Fatima Chhanda
Chief Coordinator, Dear Diet
Scroll to Top